বর্তমান সময়ে কোমর ব্যাথা একটি খুব সাধারণ সমস্যা। অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করা, মোবাইল বা ল্যাপটপ ব্যবহার, শরীরচর্চার অভাব কিংবা অতিরিক্ত ভারী কাজ—এসব কারণে কোমর ব্যথা ক্রমেই বাড়ছে। অনেকেই গুগলে খোঁজ করেন কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়, যাতে ঔষধ বা সার্জারি ছাড়াই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেন।
কোমর ব্যাথার সাধারণ কারণ
কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায়
১. নিয়মিত ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং
সহজ কিছু স্ট্রেচিং ও যোগব্যায়াম কোমর ব্যথা কমাতে অসাধারণ ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন সকালে ১০–১৫ মিনিট হালকা ব্যায়াম করলে কোমরের পেশি শক্ত হয় এবং ব্যথা ধীরে ধীরে কমে।
২. গরম ও ঠান্ডা সেঁক
কোমরে ব্যথা হলে প্রথম দিকে বরফ সেঁক এবং পরবর্তীতে গরম পানির সেঁক দিলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ও ব্যথা দ্রুত কমে।
৩. সঠিক ভঙ্গিতে বসা ও দাঁড়ানো
অফিসে বা বাড়িতে দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসলে অবশ্যই সঠিক ভঙ্গি বজায় রাখতে হবে। চেয়ারের পিছনে কুশন ব্যবহার করলে কোমরের উপর চাপ কম পড়ে।
৪. ওজন নিয়ন্ত্রণ
অতিরিক্ত ওজন কোমরের হাড় ও পেশিতে চাপ বাড়ায়। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত হাঁটা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা কোমর ব্যথা প্রতিরোধে কার্যকর।
৫. পর্যাপ্ত বিশ্রাম
অতিরিক্ত কাজের চাপ বা ক্লান্তির কারণে কোমরে ব্যথা দেখা দিতে পারে। পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করে এবং ব্যথা উপশমে সাহায্য করে।
৬. আধুনিক চিকিৎসা ও ইলেক্ট্রোথেরাপি
আজকাল বাংলাদেশে অনেক পেইন ম্যানেজমেন্ট সেন্টার রয়েছে যেখানে ইলেক্ট্রোথেরাপির মাধ্যমে কোমর ব্যথা সারানো যায়। এটি একটি নিরাপদ ও সার্জারি ছাড়া চিকিৎসা পদ্ধতি, যা দ্রুত আরাম দেয়।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
যদি কোমর ব্যথা দীর্ঘদিন ধরে থাকে, পায়ে ঝিন ঝিন করে অথবা চলাফেরায় সমস্যা হয়, তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
উপসংহার
সঠিক জীবনযাপন, নিয়মিত ব্যায়াম ও কিছু সহজ অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে কোমর ব্যাথা সারানোর সহজ উপায় ঘরে বসেই সম্ভব। তবে ব্যথা যদি নিয়মিত বৃদ্ধি পায়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
👉 উন্নত মানের ইলেক্ট্রোথেরাপি ও নন–সার্জিক্যাল পেইন ম্যানেজমেন্ট সেবার জন্য আপনি ভরসা করতে পারেন Delta Biomechanics-এর উপর। এখানে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তিতে কোমর ব্যথার কার্যকর সমাধান দেওয়া হয়।