ঘাড় ব্যথা কিসের লক্ষণ?

বর্তমান যুগে ঘাড় ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা। অফিসে দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করা, মোবাইল ফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঝুঁকে থাকা কিংবা সঠিক ভঙ্গিতে না বসার কারণে অনেকেই ঘাড় ব্যথায় ভোগেন। তবে ঘাড় ব্যথা সবসময় সাধারণ কারণে হয় না; এটি অনেক সময় গুরুতর রোগেরও ইঙ্গিত হতে পারে। তাই প্রশ্ন জাগে— ঘাড় ব্যথা কিসের লক্ষণ?

ঘাড় ব্যথার সাধারণ কারণ

1. ভুল ভঙ্গি (Posture problem)
   দীর্ঘ সময় কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহারের ফলে ঘাড়ে অস্বস্তি তৈরি হয়।
2. পেশী টান ধরা (Muscle strain)
   হঠাৎ ভারী জিনিস তোলা বা ঘুমের সময় ভুল ভঙ্গির কারণে ঘাড়ের পেশীতে টান ধরে ব্যথা হতে পারে।
3. স্ট্রেস বা মানসিক চাপ
   অতিরিক্ত মানসিক চাপও ঘাড়ের পেশীতে টান সৃষ্টি করে।

ঘাড় ব্যথা গুরুতর সমস্যার লক্ষণ হতে পারে

ঘাড় ব্যথা সবসময় সাধারণ কারণে হয় না। অনেক সময় এটি গুরুতর রোগেরও সংকেত হতে পারে, যেমন—

• সার্ভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিস : বয়স বাড়ার সাথে সাথে ঘাড়ের হাড় ক্ষয় হয়ে ব্যথা ও ঝিনঝিন ভাব দেখা দেয়।
• ডিস্ক সমস্যা (Slipped disc / Herniated disc) : মেরুদণ্ডের ডিস্ক সরে গেলে বা চাপ পড়লে স্নায়ুতে ব্যথা ছড়িয়ে যায়।
• নার্ভ চাপা পড়া (Nerve compression) : এতে হাত অবশ হয়ে যাওয়া বা ঝিনঝিন ভাব হতে পারে।
• আর্থ্রাইটিস (Arthritis) : ঘাড়ের জয়েন্টে প্রদাহ হলে ব্যথা বাড়ে।
• চিকুনগুনিয়া বা ভাইরাস জ্বর : অনেক ভাইরাসজনিত রোগে ঘাড় ও সন্ধিতে ব্যথা দেখা যায়।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি?

• ঘাড় ব্যথা কয়েক দিনেও না কমলে
• হাত-পায়ে অবশ বা ঝিনঝিন ভাব হলে
• জ্বর, মাথাব্যথা বা বমির সাথে ঘাড় ব্যথা হলে
• দুর্ঘটনার পর হঠাৎ ঘাড় ব্যথা শুরু হলে

এসব ক্ষেত্রে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

ঘাড় ব্যথা অনেক সময় সাধারণ কারণে হলেও তা গুরুতর রোগেরও লক্ষণ হতে পারে। তাই অবহেলা না করে সঠিক ভঙ্গি মেনে চলা, নিয়মিত ব্যায়াম করা এবং প্রয়োজনে ফিজিওথেরাপি বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। DELTA BIOMECHANICS চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো নিয়ে এসেছে ADVANCED ELECTROTHERAPY চিকিৎসা–স্পাইনাল ডিকম্প্রেশন মেশিন (Raphael 707 from Korea) ও লেজার মেশিন (Mphi 75 from Italy) যা রোগের মাত্রা ও রোগীর সামগ্রিক স্বাস্থ্য বিবেচনা করে চিকিৎসা পরিকল্পনা করা হয়। এছাড়াও রয়েছে ADVANCED REHABILITATION CENTRE যার মাধ্যমে রোগীর শতভাগ সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে।